Tuesday, October 28, 2008

আজ ২৮ অক্টোবর, বর্বর আওয়ামীলীগের জন্য প্রার্থনা করি।


বাংলাদেশের মানুষ যখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে জোট সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের মুহুর্তটির জন্য। তার ৩ দিন আগেই গঠীয়ে দিলো এই নরকিয় কান্ড! রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনায় প্রান হারান ১৩ জন। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ। রাজধানীতেই জামায়াত ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের ছয়জন এবং ছাত্র মৈত্রীর একজন কর্মী প্রাণ হারান। নির্মম প্রহার, গুলি বর্ষণ আর ইট পাটকেলের আঘাতে রাজধানীর পল্টন এলাকায় নিহত হন ছয়জন।জোট সরকার নির্ধারিত সময়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন ঘোষনা দেওয়ার পর এবং দেশের মানুষ টিভি এবং সংবাদ পত্রের দিকে নজর রাখছেন সরকার কেমন প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিদায়ের জন্য। রেওয়াজ অনুযায়ী ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে বিদায়ী ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর পরই পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে সৃষ্টি করা হলো এক চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি, ভাংচুর, জালাও পোডাও, লুটপাট ও সড়ক অবরোধ। ঢাকার পল্টন মোড়ে এ কি লোমহর্ষক, হৃদয় বিদারক দৃশ্য, লগি, বৈঠা, কিরিচ, লাঠি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে একদল উম্মত্ত মানুষ নির্বিচারে অত্যাচার চালিয়েছে আরেক দল মানুষের উপর। এইটা কি মানুষের পক্ষে সম্ভব!! পিটিয়ে, খুচিয়ে খুচিয়ে আঘাতের পর আঘাত জীবন্ত যুবকদের হত্যা , হত্যার পর মৃত লাশের উপর দাঁড়িয়ে উল্লাসনৃত্য! এ হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখে মূর্ছা গেছেন অনেক মা বোন বাবা ভাই, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মানবিক চেতনা সম্পন্ন প্রতিটি মানুষ। গণতান্ত্রিক সভ্যতার যুগে এ কেমন ভয়ঙ্কয় খেলা! আজ জরুরী অবস্থা , দেশ কে কেউ বলেন ১০ বছর, কেউ বলেন ২০ বছর পিছিয়ে নেওয়া এই সবই একই সুত্রে গাথা।মানুষ এখন বুঝতে পারে কেন মহাসমাবেশে সন্ত্রাসীদের নেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন লগি বৈঠা লাঠি নিয়ে দেশকে অকার্যকর করে দেওয়ার। এই সবের একটি মাত্র কারণ "ক্ষমতা"। কিন্তু কি ভাবে ভাবলো এই বর্বরের দল যে অস্থিতি শীলতা এবং বিশৃঙ্খলা করলে তাদের কে ক্ষমতায় বসাবে জনগণ? জরুরী অবস্থা যে দলের আন্দোলনের , যে দলের নেত্রীর ঘোষণার ফসল, তারাই আবার সেই জরুরী অবস্থার সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলছেন। বন্ধুকের নালির সামনে তারা আর লগি বৈঠা তান্ডব দেখাতে পারছেনা। তাই তাদের কাছে এখন বন্দুকের নালিও বিষপোড়া হয়ে দাড়িয়েছে। তাদের অহেতুক আন্দোলন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য ছিলোনা, তারা চেয়েছিলো ক্ষমতার মাধ্যমে দেশে একটি পুতুল সরকার, যারা দেশে বিশৃঙ্খলা দুর্নীতি সন্ত্রাসী ডাকাতির মাধ্যমে এক হিংস্র জনপদে পরিনত করার। তারা যে ভোটার লিষ্টের জন্য আন্দোলন করেছে, আবার সেই ভোটার লিষ্টের মাধ্যমে নির্বাচনের কথা বলেছে, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করার জন্য মাঠে নেমেও সৈরশাসক এরশাদের জন্য নির্বাচন করেনি, এই রকম হাস্যকর বিষয় গুলো বাংলার জনগণ ভুলবেনা। যারা ক্ষমতার লোভে মাত্র তিন দিনে ২৬ জন মানুষকে খুন করতে পারে, ক্ষমতার মসনদে বসলে তাদের হাতে কত মায়ের বুক খালি হবে?আর কতকাল দেশবাসী রাজনীতির অসহায় শিকারে পরিণত হবে? এই প্রশ্ন আজ দেশের সর্বত্র। যারা শুধু ক্ষমতা দখলের জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করে, জনগণের কথা না ভেবে একের পর এক ধ্বংসাত্মক কর্মসুচি দিয়ে দেশে নৈরাজ্যকর পিরস্থিতি সৃষ্টি করে জোর করে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখে। আর সেই স্বপ্ন পূরণের কথা ভেবে দেশের শান্তিকামী মানুষের রক্ত মেখে উল্লাস করে। লাশের পর লাশ ফেলে ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি বানায়। তাদের কাছ থেকে কি দেশের মানুষ শান্তি আশা করতে পারে? যে নেত্রীর একটি ঘোষণায় শত লাশ আর সহস্র মানুষের স্বজন হারানোর কান্না ভেসে আসে, যিনি নিজেই মানুষ হত্যার ঘোষণা দেন তার কাছে দেশের মানুষ কি নিরাপদ?এই বার দেশের জনগণকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আসুন সবাই হত্যা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের কে "না" বলি।যে মির্জা আযম, নানক, ইকবালের হাতের ইশারায় এই নরকিয় হত্যা কান্ড গঠেছে, তারা এখনো আইন , সরকার এবং সচেতন বাংলাদেশী নাগরিকদের বিদ্দা আঙ্গুলি দেখিয়ে সমাজে সচর আচর চলাপেরা করছেন। যা বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য লজ্জাকর। তাই আমাদের দাবী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সব হত্যাকারী ঘাতকদের বিচারের কাঠগড়ায় এনে সঠিক বিচার করা হোক।২৮ অক্টোবরের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

1 comment:

Unknown said...

ওদেরও ঐভাবে সাইজ করা দরকার।